এবারে আমরা MS-DOS-এর বিভিন্ন কম্যান্ড বা নির্দেশ দেওয়া থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন কনফিগারেশন ফাইল ইত্যাদি সম্পর্কে জানব।
আমরা আগেই PC সম্বন্ধে আলােচনা করেছি(কম্পিউটার শিক্ষা বিভাগে পড়ে নিন আগের পোস্টগুলি) এবং ফাইল, ডিরেক্টারী, বুটিং ইত্যাদি সম্পর্কেও আমাদের ধারনা হয়েছে। MS-DOS-এ PC-কে বুট করার পর C: >- প্রম্পট আমাদের সামনে আসে।
এখান থেকেই এবারে আমাদের কাজ শুরু হবে।
ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল কম্যান্ড
MS-DOS-এ কম্যান্ড ইন্টারপ্রিটার সরাসরি যে যে নির্দেশগুলাে বােঝে তাকে বলে DOS-এর ইন্টার্নাল (internal) কম্যান্ড। এই নির্দেশগুলাে COMMAND.COM সরাসরি বুঝতে পারে।
কম্যান্ড ইন্টারপ্রিটার মেমরীতে বসেই এই নির্দেশ গ্রহণ করতে পারে ও পালন করতে পারে।
এজন্য আলাদা করে কোন ফাইল-এর প্রয়ােজন হয় না।
অপরদিকে MS-DOS-এ এক্সিকিউটেবল ফাইল (EXE এবং COM এক্সটেনশন যুক্ত) হিসাবে থাকে সমস্ত এক্সটার্নাল কম্যান্ড। এগুলাে সরাসরি COMMAND.COM-এর বােধ্য নয়।
এই কম্যান্ডগুলােকে বলে এক্সটার্নাল কম্যান্ড। এগুলাে হল আসলে এক্সিকিউটেবল ফাইল।
MS-DOS-এ এই ধরনের কম্যান্ড (এদেরকে অনেক সময় MS-DOS-এর ইউটিলিটি প্রােগ্রামও বলা হয়)-এর সংখ্যাই বেশি।
DIR
DIR-এর পুরাে অর্থ হল ডিরেক্টারী, অর্থাৎ এটা দিলে DOS ডিস্ক ডিরেক্টারীকে রিড করে ফাইল নাম এবং অন্যান্য তথ্য আমাদের সামনে এনে হাজির করবে।
ব্যবহারের ফরম্যাট হল-
DIR < drive : ><path >< files > / options.
↵ হল এন্টারের চিহ্ন, অর্থাৎ কীবাের্ডে DIR A: লিখে এন্টার চাপতে হবে, A: হল A ড্রাইভ। লেটারের শেষে : চিহ্ন ব্যবহার করা হয় MS-DOS-এ (সেরকমই C: হল C ড্রাইভ, D: হল D ড্রাইভ ইত্যাদি)
< path > হল ডিরেক্টারী পাথ, এটার ব্যাপারে আমরা একটু পরেই জানবাে। DIR- এর সঙ্গে ইচ্ছা করলে ফাইল নেমও দেওয়া যায়, যাতে জানা যায় যে ঐ নামের ফাইলটা ডিস্কে আছে কি না।
যেমন DIR COMMAND.COM লিখে এন্টার চাপলে ডিস্কে ঐ ফাইলটি আছে কি না তা জানা যায়। এবারে দেখা যাক DIR কম্যান্ড দেওয়ার পরে স্ক্রিনে আমরা কি আউটপুট পাব-
এখানে দেখা যাচ্ছে যে ডিস্কে কি কি ফাইল ও সাব ডিরেক্টারী আছে। আপনার PC-র ক্ষেত্রে এই তালিকাটা অন্য রকমের হবে, হয়ত আপনি অনেক বেশি ফাইল ও ডিরেক্টারী দেখতে পাবেন।
একেবারে প্রথম লাইনে দেখা যাচ্ছে ডিস্কের লেবেল বা ভলুম নেম (volume name)। এটা ডিস্ক ডিরেক্টারীর একটা অংশ। এখানে আপনি DOS-এর বিশেষ ইউটিলিটির সাহায্যে একটা নাম (যেমন, আমরা কোন বই-এ আমাদের নাম লিখে রাখতে পারি) লিখে রাখতে পারেন।
এর পরের অংশটা হল ভল্ম সিরিয়াল নম্বর, এটা আপনি সাধারণভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন না। তারপরের লাইনে থাকবে কোন ডিরেক্টারীর অন্তর্গত ফাইলগুলি আপনি দেখছেন তার নাম। এখানে Directory of C:-এর অর্থ হল C ড্রাইভের রুট ডিরেক্টারী।
এর পরের অংশে থাকবে ফাইলের বা ডিরেক্টারীর নাম, বাইটের হিসাবে প্রতিটি ফাইলের সাইজ, কবে এই ফাইলকে শেষবারের মত পরিবর্তন করা হয়েছে তার তারিখ এবং সময়। এখানে তারিখের ফরম্যাটটা হল mm-ddyy, অর্থাৎ 04–08-01 হল ৪ই এপ্রিল, 2001 সাল।
সবশেষে দেখা যাবে মােট ফাইল সংখ্যা (উল্লেখ্য যে ডিরেক্টারীও আসলে একটা ফাইল, তবে তার সাইজ DOS দেখায় না), সবকটা ফাইলের মােট সাইজ ও ডিস্কে আরও কতটা জায়গা খালি আছে তার পরিমাপ।
MS-DOS যেহেতু FAT 16ফাইল সিস্টেম ব্যবহার করে তাই এখানে একটা হার্ড ডিস্ক পার্টিশন-এর সর্বোচ্চ মান হবে 2.1 গিগাবাইট।
কম্যান্ড দেওয়ার পরে MS-DOS আউটপুট দেখালে পুণরায় ডস প্রম্পট চলে আসে, অর্থাৎ প্রথম কম্যান্ড-এর কাজ সে পালন করেছে এবং পরবর্তী কম্যান্ড নেওয়ার জন্য সে রেডি।
যদি আপনি কখনও ভুল কম্যান্ড দেন এবং সেই ভুল নামেরই কোন এক্সিকিউটেবল ফাইল ঐ ডিরেক্টারীতে না থাকে, তবে MS-DOS দেখাবে-
IP
এটা ব্যবহার করলে ডিরেক্টরী লিষ্টিংটা পেজওয়াইজ দেখায়। যদি ডিস্ক বা ডিরেক্টারীতে প্রচুর ফাইল থাকে তবে লিষ্টিং-এর প্রথম দিককার তথ্যগুলাে উপরের দিকে স্ক্রোল করে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই অবস্থায় DIR /P বা DIR A:/P নির্দেশ ব্যবহার করলে ডিরেক্টারী লিষ্টের প্রথম পেজটা স্ক্রিনে আসে এবং সবশেষ লাইনে লেখা থাকে Press any key to continue…..।
এই অবস্থায় তথ্য পড়া হয়ে গেলে কীবাের্ডে যে কোন একটা কী বাটন চাপলেই (সাধারণতঃ স্পেসবার চাপা হয়। পরবর্তী পেজটা স্ক্রিনে চলে আসে। এইভাবে চলতে থাকে যতক্ষণ না লিষ্ট শেষ হচ্ছে।
/ W
/ S
যে ডিরেক্টারীর অন্তর্গত সাব-ডিরেক্টারী লিষ্টিং আপনি দেখছেন, তার অন্তর্গত সমস্ত সাব-ডিরেক্টারীর ফাইল লিষ্ট /S প্রয়ােগে দেখতে পাওয়া যায়।
যেমন, যদি আপনি C বা A ড্রাইভের রুট ডিরেক্টারীতে থাকেন ও DIR/S ↵ করেন, তবে আপনি সমস্ত সাব-ডিরেক্টারীর অন্তর্গত ফাইলগুলােকে দেখতে পাবেন। অর্থাৎ ডিস্কের সব ফাইলের লিষ্টই আপনার সামনে আসবে।
যেহেতু এই লিষ্ট অনেক বড় হবে ও স্ক্রোল করতে থাকবে, তাই এখানে আপনি /P অপশন (একসঙ্গে দুই বা ততােধিক অপশনও প্রয়ােগ করা যাবে) প্রয়ােগ করতে পারেন। অর্থাৎ আপনাকে নির্দেশ দিতে হবে-
/ L
/ B
Q:order
- / O : N – প্রাইমারি নেম-এর উপর সর্টিং
- / O : S – ফাইল সাইজ-এর উপর সর্টিং
- / O: E – সেকেণ্ডারী নেম বা এক্সটেনশন-এর উপর সর্টিং
- / O: D – ডেট বা তারিখ-এর উপর সর্টিং
- / O: G – প্রথমে সমস্ত সাব-ডিরেক্টারী, তারপরে ফাইল
/ A:attribute
- / A: A – আর্কাইভ অ্যাট্রিবিউটযুক্ত ফাইল লিষ্ট
- / A : D – কেবলমাত্র সাব-ডিরেক্টারী লিষ্ট
- / A: R – রিড ওনলি ফাইল দেখার জন্য
- / A : H – হিডেন ফাইল দেখবার জন্য
- / A : S – সিস্টেম ফাইল দেখবার জন্য
স্ক্রিন পরিষ্কার করা – CLS
ডিরেক্টারী মেন্টেনেন্স – MD, CD, RD
MD বা MKDIR
- C:>MD SALES ↵
- C:>MD SALARY ↵
- C:>MD PURCHASE ↵
ডিরেক্টারী বা সাব-ডিরেক্টারীর নামকরণের ক্ষেত্রে ফাইল-এর নামকরণ পদ্ধতি হুবহু প্রযােজ্য।
তার মানে এখন আমরা C: বা C ড্রাইভের রুট ডিরেক্টারীতে তিনটি সাব-ডিরেক্টারী তৈরী করলাম যাদের নাম যথাক্রমে SALES, SALARY এবং PURCHASE। তাহলে এখন ডিরেক্টরী স্ট্রাকচার বা ট্রি স্ট্রাকচারটা হল নীচের মত-
এখানে এই তিনটিই হল ফাষ্ট লেভেল ডিরেক্টারী (first level directory)। তেমনি এর আন্ডারে যদি আরও ডিরেক্টারী তৈরী করা যায় তবে তা হবে সেকেন্ড লেভেল ডিরেক্টারী এবং এইভাবে চলতে থাকবে।
MS-DOS-এ ফাইলের প্রকৃত অবস্থানটা নির্দেশ করা হয় পাথ (path) দিয়ে।
পাথ হল ঐ ফাইলের কাছে পৌঁছনাের ট্রি স্ট্রাকচার্ড রাস্তা। যেমন SALARY ডিরেক্টারীর মধ্যে যদি JAN2001 নামক একটা ফাইল থাকে তবে তার পাথ হবেC:SALARYAN2001।
প্রতিটি লেভেলের ডিরেক্টারীকে আলাদাভাবে বােঝানাের জন্য ।
(উচ্চারণ ব্যাকস্ল্যাশ) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। তাহলে JAN 2001 নামক ফাইলের পুরাে পাথ হল C: SALARY JAN2001। একই রকমভাবে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে । COMMAND.COM-এর অবস্থান বা Path হল C:COMMAND.COM।
চেঞ্জ ডিরেক্টারী
CD বা CHDIR
তাহলে আপনি এখন রয়েছেন C:SALARY20012002.SAL নামক ডিরেক্টারীতে।আমরা উদাহরণে যদিও ডিরেক্টারীর একটা সেকেন্ডারী নেম (.SAL) ব্যবহার করেছি, আপনিও করতে পারেন, তবে সাধারণতঃ কেউ ডিরেক্টারীর সেকেণ্ডারী নেম ব্যবহার করে না।
এখন আপনি যেখানে রয়েছেন সেটা হল, সেকেণ্ড লেভেল ডিরেক্টারী, এখানে SALARY.DBF নামক ফাইল রাখলে সেটার পাথ হবে C:SALARY20012002.SALISALARY.DBF-
যেকোন খালি ডিরেক্টারীতে (অর্থাৎ যাতে কোন ফাইল নেই) থাকা অবস্থায় যদি আপনি DIR করেন তাহলে দেখতে পাবেন-
আগেই বলেছি যে ডিরেক্টারী হল প্রকৃতপক্ষে একটা বিশেষ ধরনের ফাইল।
এই ডিরেক্টারীর মধ্যে আপনি আবার দুটো ডিরেক্টারী ফাইল দেখতে পাবেন।.<DIR > হল কারেন্ট ডিরেক্টারী নির্দেশক। অর্থাৎ . বলতে বােঝায় কারেন্ট ডিরেক্টারী বা যে ডিরেক্টারীতে আপনি এখন রয়েছেন।
তেমনিই .. বলতে বােঝায় পেরেন্ট (parent) ডিরেক্টারী, অর্থাৎ তার উপরের লেভেলের ডিরেক্টারী যার আন্ডারে এটা রয়েছে। এইভাবে প্রতিটি ডিরেক্টারীর মধ্যেই আপনি এই দুটো বিশেষ ডিরেক্টারী ফাইল দেখতে পাবেন।
এছাড়া কোন ডিরেক্টারীতে থাকা অবস্থায় DIR কম্যান্ড দিলে প্রথম থেকে তৃতীয় লাইনে আপনি কারেন্ট ডিরেক্টারীর পাথ দেখতে পাবেন। এছাড়া বাই ডিফল্ট অবস্থায় কম্যান্ড প্রম্পটও পাথকে নির্দেশ করবে।
তাহলে দেখা গেল যে CD বা CHDIR কম্যান্ড ব্যবহার করে আমরা যেকোন ডিরেক্টারীতে প্রবেশ করতে পারি। কিন্তু বেরিয়ে আসব কিভাবে? এখানেও CD ব্যবহার করতে হবে।
⚫ যদি আমরা এক লেভেল পেছনে পিছিয়ে আসতে চাই (যেমন ধর্ড লেভেল থেকে সেকেণ্ড লেভেল বা সেকেণ্ড লেভেল থেকে ফার্স্ট লেভেল) তবে কম্যান্ড দেব CD.. ধরুন আমি এখন রয়েছিC:SALARY2001200 2BASICPAY-তে।
এই অবস্থায় আমার PC-তে কম্যান্ড প্রম্পট (সাধারণভাবে) দেখাবে C:SALARY 20012002BASICPAY >.। এখানে CD.. করলে আমি পৌঁছে যাব C:SALARY20012002-তে। অর্থাৎ এক স্টেপ আপার লেভেলে উঠে এলাম (BASICPAY থেকে 20012002-তে)।
পুনরায় এখানেও CD.. লিখে এন্টার চাপলে আমরা চলে যাব C:SALARY-তে। সেখানেও যদি CD..করি তাহলে সরাসরি পৌঁছে যাব C:-এ অর্থাৎ C ড্রাইভের রুট ডিরেক্টারীতে।
যদি এখানে কোন ভুল ডিরেক্টারী নেম দিই বা রুট ডিরেক্টারীতে থাকা অবস্থাতেই CD..করি তবে MS-DOS দেখাবে Invalid directory | এদেরকে বলে ডস্-এর এরর মেসেজ (error message)।
যেকোন লেভেলের ডিরেক্টারী অবস্থান থেকে যদি রুট ডিরেক্টারীতে আসতে হয় তবে ব্যবহার করতে হবে CD কম্যান্ড। যেমন-
- C:SALARY20012002CHALLAN>CD ↵
- C:>
- C:>CD C:DOSBACKUPUTILSIGAMES H
- C:DOSBACKUPUTILSIGAMES>
- C:A> CD.. A B
- C:B>-
- C:A A> CD.. VAB
- C:A B>-
RD বা RMDIR(রিমুভ ডিরেক্টারী)
RD বা RMDIR হল ডিরেক্টারী মুছে ফেলবার কম্যান্ড। অর্থাৎ এর সাহায্যে কোন খালি ডিরেক্টারী (অর্থাৎ যার মধ্যে কোন ফাইল নেই, কেবলমাত্র < DIR > এবং .. < DIR > ফাইল দুটি আছে)-কে মুছে ফেলা যায়।
তবে ডিরেক্টারীর ভেতরে থেকে তাকে মােছা যায় না। কোন ডিরেক্টারীকে মুছতে হলে তার এক লেভেল উপরে (অর্থাৎ থার্ড লেভেল ডিরেক্টারীর ক্ষেত্রে সেকেন্ড লেভেলে থাকতে হবে আপনাকে) বা পেরেন্ট ডিরেক্টারীর লেভেলে থেকে তবেই মােছা যাবে।
মনে রাখতে হবে ঐ ডিরেক্টারীর আন্ডারে যেন কোন ফাইল, খালি বা ভর্তি ডিরেক্টারীও না থাকে। যেমন-
একই ঘটনা ঘটবে DIRECTOR ডিরেক্টারীকে মােছবার সময়। এর মধ্যে কোন ফাইল না থাকলেও দুটো ডিরেক্টারী (ACTIVE এবং INACTIVE নামের) থাকার জন্য এটাও মােছা যাবে না।
এটাকে মুছতে হলে ঐ দুটো ডিরেক্টারীকে DIRECTOR-এর ভেতরে ঢুকে আগে মুছতে হবে, তারপরে COMPANY নামক ডিরেক্টারীতে ফিরে এসে এবারে DIRECTOR-কে মুছতে হবে।
ডিরেক্টারীতে ফাইল থাকলে সেটা মােছার জন্য ফাইল ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন কম্যান্ড রয়েছে MS-DOS-এ। এবারে আমাদের আলােচনার বিষয় হল সেটাই।
MS-DOS-এর ফাইল ও অন্যান্য ইন্টার্নাল কম্যান্ড
TYPE
টাইপ কম্যান্ড প্রয়ােগ করে কোন টেক্সট ফাইলের বিষয়বস্তু দেখা যেতে পারে। তবে প্রােগ্রাম বা অন্যান্য ফাইলকে এর দ্বারা খুললে বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ক্যারেক্টার দেখা যায়।
এজন্য TYPE দিয়ে কেবলমাত্র অ্যাসকি (ASCII) বা স্ট্যান্ডার্ড কোডের ফাইলই খােলা উচিৎ | এই ধরনের ফাইলের এক্সটেনশন সাধারণতঃ TXT (টেক্সট) বা DOC (ডকুমেন্ট) ইত্যাদি হয়ে থাকে। প্রয়ােগের ফরম্যাট হল-
COPY
MS-DOS-এ COPY কম্যান্ড-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর সাহায্যে এক বা একাধিক ফাইলের ডুপ্লিকেট কপি তৈরী করা যায়। এর প্রয়ােগের ফরম্যাট হল-
COPY < path source file> < path target file>
যেখানে source file হল যে ফাইলের ডুপ্লিকেট কপি তৈরী করা হবে সেটা। টারগেট ফাইল (target file) হল ডুপ্লিকেট ফাইলটির নাম। PC-তে ডিজিটাল বা বাইনারী ফরম্যাট- এর ফাইল হওয়ার জন্য কপি করলেও ফাইল অবিকল একই (যদি না বিশেষ কোন কপি প্রােটেকশন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়) হয়। সাধারণতঃ আমরা ডেটা ফাইল (অর্থাৎ যেটা আমরা বিভিন্ন ভাবে তৈরী করেছি) কপি করে থাকি।
একই ডিরেক্টারীতে একই নামে দুটো ফাইল থাকতে পারে না। সুতরাং যদি টার্গেট পাথ একই হয় তবে টার্গেট ফাইলের একটা আলাদা নাম দিতে হয়। তা না হলে দুটো আলাদা ডিরেক্টারীতে একই নামের ফাইল থাকতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়
- C:>COPY COMMAND.COM COMMAND1.COM
- C:>COPY COMMAND.COM C:DOS
- C:>COPY C:DATAASIA.DAT C:DATAEUROPE.DAT
- C:>COPY C:JOBNUPUR.TXT C:JHUMUR.TXT
এটা একটা বিরাট বড় সুবিধা। আগেকার ভার্শনের DOS-এ এই ব্যবস্থা ছিল না। এখানে Y চাপলে (কীবাের্ড-এ) ঐ নির্দিষ্ট ফাইলটি কপি হবে, N চাপলে কপি হবে না এবং A (All) চাপলে সমস্ত ওভাররাইটিং চলতে থাকবে, MS-DOS এই সেশনে আর আপনাকে ওভাররাইটিং-এর সতর্কতা দেবে না। সাের্স ফাইল এবং ডেস্টিনেশন ফাইল-এর নাম ও পাথ যদি একই হয় তবে MS-DOS জানাবে।
- C:SALES>COPY REPORTS.DAT A:1
- C:ORIGIN>COPY MYPAGE.H A:IORIGIN
- A:>COPY BUDGET.TXT C:DATAMYDOC
- C:>COPY COMMAND.COM A:
কপি কম্যান্ড-এর সঙ্গে অপশনাল হিসাবে ব্যবহার করা যায় /v বা ভেরিফাই। এটা ব্যবহার করলে ফাইল কপি হওয়ার সময় এবং পরে এই কপিকে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে তা হুবহু আসলের মতই হয়েছে কি না।
প্রকৃতপক্ষে এক্ষেত্রে ফাইল কপির পর তা রিড করে দেখা হয় যে ঠিক আছে কি না। স্বাভাবিক ভাবেই এতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। কিন্তু / V ব্যবহার করলে বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া যায়, বিশেষ করে ফ্লপি ডিস্কের ক্ষেত্রে। উদাহরণ-
- C:>COPY MSCDEX.EXE A: /V ↵
MS-DOS-97 Wild Card Character
আমরা আগে জেনেছি যে ফাইল তৈরীর ক্ষেত্রে, অথাৎ ফাইল-এর নামকরণের জন্য * এবং ? চিহ্নকে ব্যবহার করা যায় না, অর্থাৎ *.TXT বা ? A.DOC হল ভুল ফাইল নেম । MS-DOS-এ এই দুটো অক্ষরকে বলা হয় ওয়াইল্ড কার্ড ক্যারেক্টার।
ওয়াইল্ড কার্ড ক্যারেক্টার দ্বারা আমরা এক বা একাধিক ফাইলকে নির্দেশ করতে পারি। প্রকৃত পক্ষে ওয়াইল্ড কার্ড হল গ্রুপ অফ ফাইল-এর নির্দেশক। এখানে * চিহ্ন নির্দেশ করে all files এবং ? নির্দেশ করে ফাইলের নামের একটি অক্ষর।
*.* হল সমস্ত ফাইল নির্দেশক, যেমন কোন একটা ডিরেক্টারীর মধ্যে যদি একাধিক TXT এক্সটেনশন যুক্ত ফাইল থাকে তবে ঐ ডিরেক্টারীর ক্ষেত্রে সমস্ত TXT ফাইলকে একত্রে বােঝাতে *. TXT ব্যবহার করা হয়।
তেমনই A*.TXT বা CA*.DOCমানে হল A দিয়ে শুরু সমস্ত ফাইল নেম যাদের এক্সটেনশন হল TXT এবং CA দিয়ে শুরু সমস্ত ফাইল যাদের এক্সটেনশন হল DOC আরও কয়েকটি উদাহরণ-
- RTO*.H* – RTO দিয়ে শুরু যেকোন ফাইল এবং H দিয়ে শুরু তার এক্সটেনশন, যেমন RTOS.HM, RTOSEB.HEM, RTOKTPRT.H, RTOE.HKK ইত্যাদি।
- *. DO* – সমস্ত ফাইল, যাদের এক্সটেনশন DO দিয়ে শুরু। যেমন BILLS.DOC, LETTER.DOT, INVOICE.DO, SALES.DOK, PURCHASE.DOX ইত্যাদি।
- KIPT. * – KIPT নামক প্রাইমারী নেম যুক্ত এবং যেকোন এক্সটেনশনের ফাইল, যেমন KIPT.DOC, KIPT.TXT, KIPT.EM, KIPT.H, KIPT.LET ইত্যাদি।
- *.* – নির্দেশ করে কোন ডিরেক্টারীর সমস্ত ফাইলকে। আমরা যখন কোন ডিরেক্টারীতে DIR কম্যান্ড দিই, প্রকৃতপক্ষে আমরা দিই DIR *.* কম্যান্ড। অর্থাৎ MS-DOS-কে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিরেক্টারীতে অবস্থিত সমস্ত ফাইলের লিস্ট দেখাতে।
- DIR *.TXT – কোন ডিরেক্টারীর সমস্ত TXT ফাইলের লিস্ট দেখাবে।
- DIR M*.* – M নাম দিয়ে শুরু সমস্ত ফাইল দেখাবে।
- DIRKPT*.H /A: – ডিরেক্টারীতে হিডেন ফাইলের মধ্যে KPT দিয়ে শুরু এবং H এক্সটেনশন যুক্ত ফাইল দেখাবে।
- DIR *.K* – সমস্ত ফাইল যাদের এক্সটেনশন K দিয়ে শুরু তাদের নামের তালিকা দেখাবে।
* ওয়াইল্ড কার্ডকে আমরা DIR ছাড়াও COPY-এর সাথে (প্রকৃতপক্ষে যেখানেই ফাইল নেম লেখার দরকার হয় সেখানে আমরা ওয়াইল্ড কার্ড ক্যারেক্টার ব্যবহার করে grou- অফ ফাইলস্ বােঝাতে পারি) ব্যবহার করতে পারি, যেমন-
- COPY *.DOC A:1 – কোন ডিরেক্টারীর সমস্ত DOC এক্সটেনশনযুক্ত ফাইলকে ফ্লপিতে কপি করবে।
- COPY W*.TA * C:SORTED – প্রাইমারী নেম দিয়ে শুরু এবং TA দিয়ে এক্সটেনশন শুরু এরকম ফাইলদের C:SORTED-এরমধ্যে কপিকরে দেবে।
- COPY *.*A: – কোন ডিরেক্টারীর সমস্ত ফাইলকে A ড্রাইভফ্লপিতে কপি করবে।
- AKM?.DOC – AKM দিয়ে শুরু এবং একটা যেকোন অতিরিক্ত ক্যারেক্টার যুক্ত এবং DOC এক্সটেনশনযুক্ত ফাইল নেম। যেমন- AKM1.DOC, AKM2.DOC, AKMX.DOC, AKMY.DOC ইত্যাদি।
- ???.* – প্রাইমারী নেমে তিনটি ক্যারেক্টার আছে এবং যেকোন এক্সটেনশনযুক্ত ফাইল। যেমন ABC.TXT, XYZ.DOC, KKK, RTZ.H ইত্যাদি।
- ??ZIP. EXE – 12ZIP.EXE, GAZIP.EXE প্রভৃতি ফাইল। অর্থাৎ যার প্রথম দুটো অক্ষর যা খুশি হতে পারে, পরের তিনটে অক্ষর হল যথাক্রমে Z, I এবং P। তার মানে প্রাইমারী নেম হল এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচটা। এছাড়া এক্সটেনশন হল EXE।
- SUDIPTO.? – SUDIPTO নামের যেকোন ফাইল যার এক্সটেনশন একটা ক্যারেক্টারের যেমন SUDIPTO.C বা SUDIPTO.H ইত্যাদি।
- R??D*.* – প্রথম ক্যারেক্টার হল R তারপরে যেকোন দুটো ক্যারেক্টার হতে পারে, তারপরে এবং শেষে যেকোন অক্ষর যতখুশি (সর্বোচ্চ ৪ ক্যারেক্টারের মধ্যে হতে পারে। এক্সটেনশনও যা খুশি হতে পারে। C:DOS (ডিফল্টMS-DOS 6.22 ডিরেক্টারী) এ যদি আমরা DIR R?? D*.* লিখে এন্টার চাপি তবে তার আউটপুট নীচে দেখানাে হয়েছে।
বুঝতেই পারছেন যে ? ওয়াইল্ড কার্ডকেও * এর মতই DIR, COPY ইত্যাদি ফাইল। ম্যানেজমেন্ট কম্যান্ড ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের ফরম্যাটও হুবহু এক। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে এই দুটো ওয়াইল্ড কার্ড কখনই পাশাপাশি বসবে। যেমন *>?? হতে পারে, কিন্তু * ? EXE বা ?? *.? হতে পারে না। আসলে এই ধরনের কম্বিনেশনের কোন অর্থ হয় না।
MS-DOS-এ নতুন ফাইল তৈরী
আমরা আগে জেনেছি যে ফাইল হল প্রকৃতপক্ষে তথ্যের সমষ্টি। এই তথ্য কোন নির্দেশ বা প্রােগ্রাম হতে পারে বা হতে পারে ডেটা অথবা ইনফরমেশন। আমরা সাধারণভাবে MS-DOS-এ যে ফাইল তৈরী করতে পারি তাতে কোন ডেটা বা ইনফরমেশন রাখতে পারি।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে কোন চিঠি বা ডকুমেন্টকে আমরা তৈরী করতে পারি এবং তাকে একটা ফাইলের মধ্যে ভরে রেখে দিতে (পরিভাষায় একে বলা হয় ফাইল সেভ (SAVE) করে রাখা) পারি।
MS-DOS-এ এই কাজের জন্য ইউটিলিটি প্রােগ্রাম রয়েছে, কিন্তু প্রথমে আমরা দেখব কিভাবে কোন প্রােগ্রাম ছাড়াই আমরা সাধারণ টেক্সট ফাইল তৈরী করতে পারি।
এই কাজের জন্য আমরা MS-DOS-এ ব্যবহার করব COPY CON কম্যান্ড।CON- এর অর্থ কন:সাল বা কীবোর্ড। COPY CON-এর পুরাে অর্থ হল কীবাের্ড থেকে কপি করা, অর্থাৎ আমরা কীবাের্ডে যা টাইপ করব, সেটা আগে বলে দেওয়া ফাইলের নামের একটা ফাইলে টেক্সট ক্যারেক্টার হিসাবে ঢুকে যাবে।
তাহলে প্রথমেই কম্যান্ড দিন- C:>COPY CON LETTER.TXT ↵
এই কম্যান্ড দেওয়ার পরে কোন এফেক্ট দেখা যাবে না; এর বদলে এই লাইনের নীচে কারসার দেখা দেবে। এবারে এখান থেকে আপনাকে টাইপিং শুরু করতে হবে।
- প্রথমে উপরের দিকে দু-একটা লাইন ছেড়ে দেওয়ার জন্য দু-একবার এন্টার চাপুন। কারসার নীচে নেমে এলে টাইপ শুরু করে দিন।
- টাইপিং-এর সময় মনে রাখবেন, একটা লাইনে অনেক দূর পর্যন্ত (কারসার স্ক্রীন-এর সর্বোচ্চ ডানদিকে যেতে থাকবে) টাইপ করতে পারেন। তবে ৭০ থেকে ৭৫ অক্ষর (স্পেস সহ) প্রতি লাইনে রাখাই সুবিধাজনক এবং সহজে পড়া যায়।
- লাইনে কোন বানান ভুল হলে লাইন শেষ করবার আগে ব্যাকস্পেস চেপেভুলটা মুছে সঠিক টাইপ করতে পারেন। লাইন শেষ হওয়ার পর এন্টার চাপতে হবে। এরপরে কারসার আর আগের লাইনে যাবে না, সুতরাং আগের লাইনে কোন ভুল থাকলে সেটা আর ঠিক করা যাবে না।
- টাইপ করা শেষ হলে DOS-কে নির্দেশ দিতে হবে যে ফাইলটা (LETTER.TXT) শেষ হয়েছে। এজন্য,দু-একটা এন্টার চেপে দু-এক লাইন গ্যাপ দিয়ে সবশেষের লাইনে কারসার এনে Ctrl + Z (^Z) চাপতে (এক হাতে Ctrl চেপে ধরে Zকী চাপুন ও দুটোই ছেড়ে দিন) হবে। এখানে F6 (কীবাের্ডের উপরের অংশের ফাংশান কী) চাপলেও হয়। স্ক্রীনে ^Z দেখা যাবে। এবারে এন্টার চাপলেই স্ক্রীনে দেখা যাবে 1 file(s) copied মেসেজ। অর্থাৎ কীবাের্ড থেকে LETTER.TXT নামক ফাইলটা ডিস্কে কপি হয়ে গেল।
ফাইল মুছে ফেলা ও নাম পরিবর্তন করা
DEL বা ERASE
- C:DOS>DEL *.TMP → এই নির্দেশ সমস্ত TMP ফাইলকে মুছে ফেলবে।
- C:DOSUTIL>DEL A?.* → এটা A দিয়ে শুরু এবং সর্বোচ্চ দুটো ক্যারেক্টার প্রাইমারী নেম যুক্ত এবং যেকোন এক্সটেনশনের, বা এক্সটেনশন ছাড়া ফাইল মুছে ফেলবে। DEL বা ERASE-এরসঙ্গে। Pঅপশন ব্যবহার করা যায় যাতে প্রতিটি ফাইল ডিলিট করবার আগে সে আপনার অনুমতি চায়। যেমন-
এখানে Y চাপলে ডিলিট হবে, N চাপলে ডিলিট হবে না। কোন ডিরেক্টারীর সমস্ত ফাইল মুছতে গেলে ব্যবহার করা হয় DEL *. * নির্দেশ। এটা দিলে কিন্তু ডিরেক্টারীর সমস্ত ফাইল মুছে যাবে, তাই সাবধান! ভুলভাবে যাতে এর প্রয়ােগ না হয়, সেজন্য এই নির্দেশ প্রয়ােগ করলেও ফাইল ডিলিট করবার আগেই MS-DOS দেখাবে এক সাবধানবানী-
এখানে Y চাপলে সমস্ত ফাইল মুছে যাবে। এই কম্যান্ড সাধারণতঃ ব্যবহার করা হয় একটা পুরাে ডিরেক্টারীকে খালি করবার জন্য, খালি না করতে পারলে RD কম্যান্ড প্রয়ােগ করে ডিরেক্টারীকে মুছে ফেলা যায় না। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাহলে মুছে ফেলা ফাইলকে কি পুনরুদ্ধার করা যায়? হ্যা, কিছু ক্ষেত্রে এটা সম্ভব, MS-DOS-এ UNDELETE নির্দেশ আছে, সেটার প্রয়ােগ আমরা যথা সময়ে জানব।
REN বা RENAME
- C:>REN C:BUDGET BUDGET.REP C:BUDGET BUDGET.TXT ↵
- C:BUDGET 20002001>RENAME TRAVEL.APP TOUR.RNT ↵
প্রথম উদাহরণে আমরা ডিরেক্টারীর বাইরে থেকে REN করছি, এজন্য old file এবং new file-এর সম্পূর্ণ পাথ দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আমরা ডিরেক্টারীর ভেতরেই আছি বলে কেবল old এবং new ফাইলের নামই দিতে হয়েছে।
ফাইলের এক্সটেনশনটাই হল প্রকৃতপক্ষে ফাইল-এর পরিচায়ক, নির্দেশ করে প্রকৃতপক্ষে সেটা কি ধরনের ফাইল। REN দিয়ে দুটো নামই পরিবর্তন (প্রাইমারীও সেকেণ্ডারী বা এক্সটেনশন) করা যায়। তবে সেকেণ্ডারী নেমকে সাধারণতঃ কেউ পরিবর্তন করে না।
MS-DOS-এর তারিখ এবং সময়
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে DATE এবং TIME-এর সাথে সাধারণতঃ কোন প্যারামিটার ব্যবহার করা হয় না এবং যেকোন ডিরেক্টারীতে থাকা অবস্থাতেই একে প্রয়ােগ করা যায়।
উদাহরণে দেখছেন যে DATE নির্দেশ পেয়ে MS-DOS কারেন্ট ডেট অর্থাৎ আজকের তারিখ দেখাচ্ছে। এরপরের লাইনে আপনার কাছে নতুন ডেট চাইছে। যদি তারিখ পরিবর্তন করতে চান, তবে এই ফম্যাটে (অর্থাৎ প্রথমে মাস বা mm তারপরে তারিখ বা dd এবং সবশেষে তারিখ বা yy লিখে দিতে হবে, MS-DOS-এ প্রায় সব ক্ষেত্রেই তারিখ-এর ফম্যাট এরকম অর্থাৎ mm-dd-yy, সালকে দুই অক্ষরে বা চার অক্ষরে লেখা যায়) ডেট দিয়ে এন্টার চাপুন।
যদি কোন কিছু ভুল লেখেন তবে Invalid date মেসেজ দেখতে পাবেন। কিছু না লিখে এন্টার চাপলে DOS ঐ পুরােনাে তারিখটাই নিয়ে নেবে। সময় বা TIME-এর ব্যাপারটাও হুবহু এক। ডস্ প্রম্পটে TIME লিখে এন্টার চাপলে আপনি দেখতে পাবেন-
উদাহরণে যে সময়টা দেখানাে হয়েছে সেটা হল প্রকৃতপক্ষে দুপুর বারােটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট এবং 20.41 সেকেন্ড। আপনার ক্ষেত্রে সময়টা অবশ্যই অন্যরকম হবে। এখানে সেকেন্ডকেও ১০০ ভাগে ভাগ করা হয়, সেজন্য 20.41 সেকেন্ড হয়েছে। সবশেষে p নির্দেশ করছে PM।
এই সময় পরিবর্তন করতে চাইলে এই একই ফর্ম্যাটে সময় দিন। সেকেন্ড এর অংশটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সেকেন্ডের অংশ না দিলেও MS-DOS সময়টা গ্রহণ করবে। a বা p দিতে পারেন AM এবং PM-কে বােঝানাের জন্য।
MS-DOS-এর ভারশন এবং ভলিউম
মনে করুন আপনি যে PC-তে কাজ করছেন, সেটাতে আগে থেকেই MS-DOS ইনস্টল করা ছিল। কিন্তু আপনি জানেন না যে কোন ভারশনের MS-DOS আপনার কাছে রয়েছে। এই বই-এর প্রায় সব উদাহরণেই ব্যবহার করা হয়েছে MS-DOS ভারশন 6.22।
MS-DOS-এ তার নিজস্ব ভার্শন সম্পর্কে জানবার জন্য রয়েছে VER নামক কম্যান্ড। কম্যান্ড প্রম্পটে VER ← নির্দেশ দিলেই জানতে পারবেন আপনি কোন ভার্শনের MS-DOS ব্যবহার করছেন। MS-DOS 6.22-এর ক্ষেত্রে এটা দেখাবে- MS-DOS version 6.22
ভলিউম হল ডিস্কের ভলিউম লেবেল। DIR করবার সময় সবার প্রথম লাইনে একে দেখা যায়। DIR ছাড়াও VOL কম্যান্ডের সাহায্যে কোন ড্রাইভের (অর্থাৎ ডিস্কের) ভলিউম লেবেল জানা যায়। যেকোন ডিরেক্টারীতে থাকা অবস্থায় একে প্রয়ােগ করা যায়। যেমন-
- Volume in drive A is SUDIPTO
- Volume Serial Number is 2 A3D-57B9
MS-DOS প্রম্পটের চেহারা
সাধারণভাবে (অর্থাৎ MS-DOS ইনস্টল হওয়ার পরেই, এর কোন কনফিগারেশন পরিবর্তন না করেই, একে বলে ডিফল্ট (default) ব্যবস্থা), MS-DOS-এর প্রম্পট বা কম্যান্ড প্রম্পটের চেহারা হয় A> বা C>।
প্রকৃতপক্ষে আমরা নিজেরা এটাকে পরিবর্তন করে নিই যাতে এটা সবসময় current path দেখায়। তবে ডিফল্ট প্রম্পট কিন্তু A> বা C> | MS-DOS-এ রয়েছে prompt নামক এক ইন্টার্নাল কম্যান্ড যাতে আমরা আমাদের সুবিধামত করে ড প্রম্পটের চেহারা তৈরী করে নিতে পারি।
যে ডিরেক্টারীতে যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, ড প্রম্পটের পরে PROMPT লিখে এন্টার চাপলেই আপনি পাবেন A> বা C> ধরনের প্রম্পট।
PROMPT-এর সঙ্গে যে যে অপশনাল ফরম্যাট নির্দেশ ব্যবহার করা যায়, সেগুলাে হল-
যেকোন টেক্সট – ঐ নামের প্রম্পট হবে। যেমন যদি PROMPT MY NAME IS SUDIPTO লেখা হয় তবে A>বা C>-এর বদলে MY NAME IS SUDIPTO দেখতে পারেন এবং তার পাশে কারসার দপদপ করবে।
- SQ – সমান চিহ্ন বসবে। যেমন, PROMPT $Q দিলে ‘= -’ চিহ্নযুক্ত প্রম্পট আসবে।
- $$ – ডলার চিহ্নযুক্ত প্রম্পট। যেমন, PROMPT PRICE IS 4$$ দিলে দেখা যাবে – PRICE IS 4$ – প্রম্পট।
- $T – কারেন্ট টাইম দেখাবে।
- $D – কারেন্ট ডেট দেখাবে।
- $P – কারেন্ট পাথ এবং ড্রাইভ। এটাই বেশি ব্যবহৃত হয়।
- $V – MS-DOS-এর ভার্শন দেখাবে।
- $N – কেবলমাত্র কারেন্ট ড্রাইভ দেখাবে, পথ দেখাবে না।
- $G – ‘>’ বা greater than চিহ্ন দেখাবে। এটাই $P-এর সঙ্গে বেশি ব্যবহৃত হয়।
- $L – ‘<’ বা less than চিহ্ন দেখাবে।
- $B – পাইপ লাইন ক্যারেক্টার (1) দেখাবে। এটাই $P-এর সঙ্গে বেশি ব্যবহৃত হয়।
- $H – একটা ব্যাকস্পেস দেবে। যদি PROMPT ABCD$H লেখেন, তবে শুধু ABC দেখতে পাবেন, D-কে পাবেন না। যদি শুধুমাত্র PROMPT $H লেখেন তবে কিছুই দেখতে পাবেন না। কেবল কারসার দপদপকরবে। এখানেই সরাসরি নির্দেশ (DOS কম্যান্ড) দিতে হবে।
- $E – Escape.কোড (↵)-এর চিহ্ন পাবেন।
- $ – ক্যারেজ রিটার্ণ বা এন্টার (1) এবং লাইন ব্রেকের কাজ হবে, কোন চিহ্ন দেখতে পাবেন না। কেবল প্রতিটি কম্যান্ড দেওয়ার পরে এন্টার চাপলেই কারসার এক লাইন-এর বদলে দুই লাইন নীচে নেমে যাবে।
এবারে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক-
আশা করি আপনারা PROMPT-এর পুরাে কার্যপদ্ধতি বুঝতে পেরেছেন। MS-DOS-এ যদি কখনও false loop-এ পড়ে যান, যেমন DIR/S নির্দেশ দিয়েছেন, ডিস্কে প্রচুর ফাইল থাকার জন্য লিস্টিং চলছে তাে চলছেই, কিম্বা কোন ভুল নির্দেশ দিয়ে ফেলেছেন সেটাকে বন্ধ করবার দরকার; তবে সেখান থেকে বেরােনাের জন্য Ctrl C(একে^বলে, এক হাতে Ctrl চেপে অন্যহাতে ‘C’ কীকে চাপতে হবে) বা Ctrl Pause অথবা Ctrl Break চাপতে হবে।